শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক / ২২৮ Time View
Update : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। ফলে ছুটি ঠিক রাখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

রবিবার (২ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সারাদেশের মাদরাসায় আয়োজিত বইপড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

রমজান মাসের ছুটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা নেন অনেকে। অনেকে কোরআনের হাফেজ, তারা এ মাসে বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন, নামাজ পড়ান। এজন্য ছুটি চান। আগামী রমজানের আগেই আমরা এটা নিয়ে একটা প্রস্তুতি নেবো। রমজানে যেন কোরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে।’

আরবি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আরবিতে একটুও কথা বলতে পারবো না। এত সুন্দর করে মাখরাজ শেখার পর ভাষাটা রপ্ত করতে পারিনি।’

মাদরাসা শিক্ষকদের উদ্দেশে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় যেন থাকে। আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেটা হোক ইংরেজি কিংবা আরবি, যে ভাষাটা শিখলো, তা দিয়ে শিক্ষার্থী যেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। অমুসলিম দেশেও কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হচ্ছে। সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারাদেশ থেকে আসা মাদরাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/