বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস ডিম পেঁয়াজ আলুর দামে নাভিশ্বাস

অনলাইন ডেস্ক / ২২৫ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। বাজেট পরবর্তী দিনে (শুক্রবার) অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। মাছ ও মাংসের দাম সেই আগের মতোই বাড়তি রয়েছে। ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অত্যন্ত চড়া।

এই তিন পণ্য ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিন বাজারে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটি ডিমের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৪ টাকা। এ দাম প্রায় বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

কাঁচা পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। বেগুন ৮০ টাকা কেজি, লাউ ৮০ টাকা পিস, পেঁপে কেজি ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫৫ টাকা ও কাঁকরোল কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, ছোট পাঙাশ ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা, ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকা, টেংরা কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিক মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৬০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীর বলছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকলেও চাহিদা বেশি। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে।

ব্যবসায়ী রফিকুল বলেন, গরমের কারণে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম, কিন্তু চাহিদা তো আর কম না। ফলে দাম একটু বেশি যাচ্ছে। তাছাড়া সামনে ঈদ, জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।

আরেক ব্যবসায়ী আলী বলেন, বাজারে সব কিছুর দামই এখন বাড়তির দিকে। যেখান থেকে কিনে আনি সেখানেই দাম বাড়িয়ে রাখছে, এখানে তো আমাদের কিছু করার নাই।

বাজারে বাজেটের কোনো প্রভাব আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তেমন কোনো প্রভাব নেই। সবকিছুর দাম যেমন ছিল তেমনই।

বাজারে আসা ক্রেতা মো. নাজমুল বলেন, বাজেটে কী আর সাধারণ মানুষের কথা থাকে। বাজারে সব কিছুর দামের যে অবস্থা তাতো কোনো পরিবর্তন হয় না। দাম কেবল বাড়তেই থাকে।

আরেক ক্রেতা মুজিবুল হক বলেন, যে টাকা নিয়ে বাজারে আসছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় অর্ধেক বাজার করতেও কষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/