আবারও বাড়ছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি

অনলাইন ডেস্ক / ২৩৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

আবারও বাড়তে শুরু করেছে সুরমা, কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদ-নদীর পানি। এরইমধ্যে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে ঈদের আগে বন্যা আতংকে সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের ২০ লাখ মানুষ।

এদিকে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছেন।

তারা বলছেন, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে যদি ঈদের আগে বন্যা হয় তাহলে ঈদ আনন্দে ভাটা পড়বে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতংকও বাড়ছে।

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি তেমন বৃদ্ধি পায় না। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে। তখন সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বন্যা হয়।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা মনির মিয়া বলেন, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে তাতে ঈদের আগে বন্যা হতে পারে। বন্যা হলে আমাদের ঈদ আনন্দ মলিন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে পানি বাড়ায় আমরা খুব আতংকে আছি।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, যখন চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয় তখন সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ে। চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি বাড়লে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেখানে বৃষ্টি কম হলে সুনামগঞ্জে বন্যা হওয়ার কোনও আশংকা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/