ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সবচেয়ে বড়’ বিমান হামলায় নিহত ৭

Reporter Name / ১২২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

ইউক্রেনে সোমবার (২৬ আগস্ট) ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে এটিই রাশিয়ার ‘সবচেয়ে বড় বিমান হামলা’।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) ইউক্রেনের অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলে দুইশোর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও কয়েক ডজন আহত বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান।

রুশ হামলায় বিদ্যুতের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের কিছু অংশ সহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানি সরবরাহে বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। কারণ পুরো দেশকেই বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে রাখা হয়েছিল।

রাশিয়া নিশ্চিত করেছে যে তারা ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সকল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিবিসি বলছে, সোমবার রাতজুড়ে শুরু হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা সকাল পর্যন্ত চলে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেশচাক বলেছেন, রাশিয়া রাতভর ১২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০৯টি ড্রোন নিক্ষেপ করে। তবে ইউক্রেন বাহিনী ১০২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯৯টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

ওলেশচুক সর্বাত্মক এ হামলাকে ‘সবচেয়ে বড় বিমান হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড জানিয়েছে, রুশ হামলার সময় একটি ‘বস্তু’ তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। পোলিশ সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডের মুখপাত্র জ্যাসেক গোরিসজেউস্কি বলেছেন, সম্ভবত এটি একটি ড্রোন ছিল। ফ্লাইটের গতিপথ এবং গতি নির্দেশ করে যে এটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না।

ন্যাটোর মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ ইউক্রেনে হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, রাশিয়া কর্তৃক ন্যাটো আকাশসীমা লঙ্ঘন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক’।

এর আগে, গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনে ১৫৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া, যা তখন সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।

কিছুদিন ধরেই বড় ধরনের রুশ হামলার আশঙ্কা করছিল ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে কুরস্কের কিছু অংশ ইউক্রেন দখলে নেওয়ার পর থেকেই এ আশঙ্কা বাড়ছিল।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সোমবারের হামলার মাধ্যমে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, মস্কো এখনও এই যুদ্ধে শীর্ষস্থানীয়। এই হামলার মাধ্যমে মস্কো বার্তাটি ছিল- কোনো ভুল করবেন না, রাশিয়া যখনই ইচ্ছে করে তখনই ইউক্রেনকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

রুশ হামলার ফলে ইউক্রেনীয় অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, রাজধানী কিয়েভসহ অনেক শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/