২০১১ সালে রাজধানীসহ সারা দেশে সাবেক সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ ছিল জামায়াত ও শিবিরের কার্যালয়গুলো। এই ১৩ বছর দলের নির্বাহী কমিটির আনুষ্ঠানিক কোনও বৈঠক করতে পারেনি জামায়াত। কখনও ভার্চুয়ালি, কখনও কারও বাসা, কখনও লঞ্চে, কখনও কারও ব্যক্তিগত অফিসে বসে দলের সিদ্ধান্ত নিতেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
১৩ বছর পর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আড়ম্বরপূর্ণ সাজানো বৈঠককক্ষে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক করেছে জামায়াত। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সভায় শফিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর পর আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক করতে পেরে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি।’
তিনি সাবেক আমির গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, মকবুল আহমাদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুস সোবহান, এ কে এম নাজির আহমাদ, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ দলের নেতাকর্মীদের স্মরণ করেন।
দলের আমির দাবি করেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধী মতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এ জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।’
‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পুনর্গঠনে জামায়াতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে,’ বলেন আমির।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেলমিয়া গোলাম পরওয়ার, এটিএম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, মুহাম্মাদ শাহজাহান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, সাহাবুদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন ও আবদুর রব।
https://slotbet.online/