রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক করতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বিতর্কের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ট্রাম্প-কমলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন কমলা। জনমত জরিপ বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই তথ্য জানিয়েছে। ভোট বিশ্লেষকদের একটা অংশ মনে করছে, এবার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে খারাপ পারফরম্যান্স করার পর বয়স ও মানসিক দক্ষতা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিতর্কের মুখেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
এরপরই দলের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বিপুল সমর্থন ও উৎসাহের সঙ্গে প্রচারণার কাজ করে চলেছেন তিনি। জনমত জরিপে জনপ্রিয়তা, এমনকি তহবিল সংগ্রহেও ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন কমলা।
জনমত জরিপের ফলাফল। ছবি: গার্ডিয়ান গ্রাফিক্স
গার্ডিয়ানের জনমত জরিপ চার্টে দেখা গেছে, জুলাইয়ে মনোনয়ন পাওয়া শুরুর দিকে জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন কমলা। নির্বাচনের এই দৌঁড়ে বাইডেনের যোগ্য উত্তরসূরী তিনি হতে পারবেন কি-না এ নিয়ে সন্দেহ ছিলো অনেকের। তবে জুলাইয়ের পর ডেমোক্র্যাট দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিতে শুরু করেন কমলা। জনমত জরিপে তাকে আর ছাড়িয়ে যেতে পারেনি ট্রাম্প। সামান্য ব্যবধানে হলেও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন কমলা।
৪ আগস্টের জরিপে কমলাকে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এদিন ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এর পর থেকে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে দেখা গেছে কমলাকে। সর্বশেষ, ৫ আগস্টের জরিপে তিনি ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে ছিলেন, যেখানে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট ছিলো ট্রাম্পের ঝুলিতে।
জনমত জরিপের ফলাফল। ছবি: গার্ডিয়ান গ্রাফিক্স
এদিকে, আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরিসংখ্যানে কমলার প্রচার শিবিরের তহবিলে মোট ৪০ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার জমা হয়েছে। তখন ট্রাম্পের তহবিলে ছিলো ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর একজন প্রার্থী ১০০ কোটি ডলার খরচ করতে পারেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘পরিবর্তে’ কমলার নাম ঘোষণার পর বাড়তে শুরু করেছে ডেমোক্র্যাট দলের জনসমর্থন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনুদানের অঙ্কও।
আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রবণতা বজায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম কোনও নারী প্রেসিডেন্ট পাবে বলে ধারণা করছেন ভোট বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
https://slotbet.online/