বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী অফিসার’স ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা ৫ থেকে ৮ বছর হলেও পদোন্নতি পাচ্ছি না। নীতিমালা অনুযায়ী তিন বছরের পর থেকে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। তবুও আমরা পদোন্নতি পাচ্ছি না। আমাদের জুনিয়ররাও অনেকে পদোন্নতি পাচ্ছে না। সিনিয়র অফিসাররা সব সুবিধা নিলেও আমাদের গলায় মুলা ঝোলাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজার এমন পদোন্নতি বঞ্চিত। গত বছর ১২৫ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে। এভাবে কচ্ছপ গতিতে পদোন্নতি দিতে গেলে আগামী ২০ বছরেও আমরা পদোন্নতি পাব না।
এসময় তারা ‘এক দফা এক দাবি – পদোন্নতি পদোন্নতি’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায়, ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা তিন বছর পর নিয়মিত প্রমোশনের ডাকসহ পদোন্নতি পাচ্ছেন। কিন্তু বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তা। অথচ ব্যাংকটিতে কর্মরত জনবলের অর্ধেকের বেশি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তা। যাদের আড়াই হাজারের অধিক কর্মকর্তার পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে একই পদে চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে এবং সাড়ে তিন হাজারের অধিক কর্মকর্তার তিন বছরের অধিক চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে।
আরও জানা যায়, শাখা পর্যায়ের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা ১০ম গ্রেডের হওয়ায় এ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই ব্যাংকটির ঋণ আদায়-বিতরণ, সাধারণ ব্যাংকিং সেবা, কৃষি খাতে সরকারি অর্থায়ন বাস্তবায়নসহ সিংহভাগ কাজ সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারাই বছরের পর বছর উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না পেয়ে একই গ্রেডে থাকায় কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমনকি ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।