স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল মোল্লা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং বিগত দুই বছর যাবৎ বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনি তার বাবা ও দ্বিতীয় পক্ষের মায়ের সংসারে থাকতে না পেরে আলাদা বসবাস করতেন এবং নিজেই রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করতেন। তিনি তাদের বসতবাড়ি থেকে কিছু দূরে আলাদা বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়িতে তার বাবা মকবুল হোসেন মোল্লার গোপনকৃত আম গাছের চারা রুবেল মোল্লা কেটে ফেলেন। এ ঘটনা জানতে পেরে মকবুল হোসেন তার ছেলে রুবেল মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে রুবেল মোল্লা হাতে থাকা স্যান্ডা দিয়ে তার বাবার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। মকবুল হোসেনের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুবেল মোল্লা তার বাবাকে আঘাত করার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি দৌড়ে বাড়ির পূর্ব পাশে ফাঁকা বিলের দিকে চলে যান এবং সেখানে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মানসিক চাপে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা ঘটনা শুনে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রুবেল মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী শোকস্তব্ধ। পরিবারের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় সবাই হতবাক। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
https://slotbet.online/