স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ
(Google News) ফিডটি
ঢাকায় নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো দুটি মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনা। মোটিফ দু’টির একটি হচ্ছে, তথা ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি। এটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এই মোটিফর পাশেরই ছিলো শান্তির পায়রা। যার অংশিক পুড়ে গেছে।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে একজন ব্যক্তিকে আগুন দিতে দেখা গেছে। চারুকলার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, সেই ব্যক্তি কালো টি-শার্ট, বাদামি প্যান্ট ও কালো স্যান্ডেল পরেছিলেন। তার চুল পেছনে ঝুঁটি বাঁধা ছিল। চারুকলার মাঝখানের গেট টপকে সে ভোর ৪ টা ৪৪ মিনিটের ভেতরে ঢোকেন। একই পথে ৪ টা ৪৬ মিনিটে পালিয়ে যান। তার নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তিনি পুলিশকে জানান। প্রক্টর আরও বলেন, ওই ব্যক্তি প্রথমে তরল দাহ্য পদার্থ দিয়েছেন। তারপর পর্দার আড়ালে চলে গেছেন। তারপর ফুটেজে সেখানে অগ্নিশিখা দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি যে গেট দিয়ে ঢুকেছে সেই গেট দিয়েই বেরিয়ে যায়। পুলিশ তখন কী করছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে দেখা গেছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হাসান বলেন, জড়িতদের চিহ্নিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সেখানে পুলিশও ছিল। এ ঘটনায় চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। সদস্য হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার, চারুকলা অনুষদের সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল প্রাং ও বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী প্রক্টর এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।
https://slotbet.online/