ডিমলায় এজাহার নামিয় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ 

Reporter Name / ৬২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলায় একটি চাঁদাবাজি ও নাশকতার মামলার এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার না করে নিরীহ লোকদের আটক করে ওই মামলায় আসামী বানিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। ভূক্তভুগী পরিবার ও নিরীহ এলাকাবাসী পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,নীলফামারী জেলার ডিমলার সদর ইউনিয়নের কুঠির ডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে  আনিছুর রহমান স্বৈরাচার সরকার পতনের পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর /২৪ ইং তারিখে ৭৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ শত জনের নামে বাদী হয়ে নীলফামারী আমলী আদালতে একটি নাশকতার ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি ডিমলা থানার ওসি পি এসকে এফ আই আর হিসাবে গন্য করে নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আদালতের আদেশ ক্রমে এটি ডিমলা থানার মামলা নং-২৬ তাং-২৮/০৭/২৪ ইং হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

আারজি বর্ণিত মামালার ঘটনা বর্ণনা সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাসাশক আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে গত ২ ফেব্রুয়ারি /১১ ইং সালে নীলফামারী জেলার ডিমলা- ডোমার উপজেলায় (নীলফামারী -০১) আসনের সাংসদ সদস্য কতিথ আগুন খাওয়া টিম গঠন করে সাধারণ জনগণ ও দুই উপজেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। জন সাধারণের মাঝে ভীতিশঞ্চার করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬/৭/১৮ ইং তারিখে অভিযোগকারী আনিছুরের নিকট চাঁদা দাবি করলে সে দিতে অস্বীকৃতি  জানালে তাকে তুলে এনে কেয়ার বাজার ছাত্রলীগ অফিসে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওই আগুন খাওয়া টিম ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, চাঁদা  না পেয়ে একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাশাসক আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর/২৪ ইং এ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে নীলফামারী আমলী আদালতে নামীয় ৭৪ জন ও অজ্ঞাত ৩/৪ শত জনের নামে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক মামলাটি ডিমলা থানার ওসি পি এসকে এফ,আই আর হিসেবে গ্রহণে করে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

 ডিমলা থানা পুলিশ এই মালার  এজাহার নামীয় ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার ও অজ্ঞাত নামা  ৩৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ছাড়া রংপুর সদর থানার জি,আর ২৮/২৪ ইং মামলায় সাবেক সাংষদ আফতাব উদ্দিন সরকার গ্রেফতার হলে তাকে এই মামলায় শোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছে ২ জন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন ৩ মর্মে মামলার তদন্ত  কর্মকর্তা এস,আই,আবুল কালাম দৈনিক গনমুক্তিকে জানান  ।

 এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ,মামলার ঘটনালয় জড়িত ও এজাহার নামীয় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। এমনকি এজাহার নামীয় আসামীরা নির্দ্বিধায় থানায় যাতায়াত করছে। একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহীর ছত্র ছায়ায় এ মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ মামলাকে পুঁজি করে চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি এলাকার সাধারণ নিরীহ কৃষক ও ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাতনামা আসামীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখি মোটা অংকের অর্থ আদায় করে ঘুষ বাণিজ্য চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমাজের একাধিক  ব্যক্তিরা জানান, এই মামললায় অনেক নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘটনার জড়িত  ও এজাহার নামীয় আসামীরা ডিমলা থানার ওসির সাথে আতাত করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা (দ্বিতীয়), আবুল কালাম আজাদ এর নিকট মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওসি স্যারের নির্দেশনা আছে উনাকে না জানিয়ে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

মামলার বাদী আনিছুর রহমান অভিাযোগ করেন, মামলা দ্বায়েরের ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এজাহার নামীয় মাত্র ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য বহুবার থানায় গিয়ে ওসি স্যারকে অনুরোধ করলেও তিনি আজকাল করে কাল ক্ষেপন করছে। আমি নিরুপায় হয়ে শেষে নীলফামারী পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে গিয়ে এজাহার নামীয় আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না জানিয়ে গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেছি । আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে মর্মে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।

এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমরা আসামীদের খুজছি কই পাচ্ছিনা। পাওয়া গেলে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী পুলিশ সুপার এ,এস,এম তারিক হোসেন খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,মামলাটির ঘটনা অনেক পুরনো। তদন্ত চলছে,ঘটনার সাথে জড়িতদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/