আগামী ২২ মে থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে নওগাঁর আম। এবারের মৌসুমে ৪ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলায়। মৌসুমকে ঘিরে সোমবার (১২ মে) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়ছে। সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আম সংগ্রহের সময়সূচি ঘোষণা করেছেন।
সভায় নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সময়সূচি অনুযায়ী ২২ মে থেকে কেবল গুটি বা স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। তবে সুস্বাদু আম খেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় আম রুপালি, যা নামবে ১৮ জুন। তবে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া নওগাঁর নাক ফজলি আম পাওয়া যাবে ৫ জুন থেকে।
প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী চলতি মাসের ২২ মে থেকে গুটি বা স্থানীয় জাতের আম, ২৮ মে থেকে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষীরসাপাত ও হিমসাগর, ৫ জুন নাক ফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২৫ জুন ফজলি, ১৮ জুন আম রুপালি, ২৫ জুন ব্যানানা ম্যাংগো এবং আগামী ১০ জুলাই থেকে আর্শ্বিনা, বারি-৪, গৌড়মতি ও কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া নাক ফজলি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ব্যাপক পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ জেলার সকল উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও আমচাষি।
আব্দুল আউয়াল বলেন, নওগাঁয় চাষ হওয়া আমের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ আম রুপালি। সারা দেশে নওগাঁয় উৎপাদিত আম রুপালি আমের ব্যাপক সুখ্যাতি রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে কোনোভাবেই অপরিপক্ক আম সংগ্রহ কিংবা বাজারে তোলা যাবে না। তবে সময়ের আগে আবহাওয়ার কারণে আম পরিপক্ক হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমচাষিরা তারিখ পুনর্নিধারণ করে সময়ের আগে আম সংগ্রহ করতে পারবেন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারিখ অনুযায়ী আম সংগ্রহ করতে জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। মূলত ভোক্তাদের পরিপক্ক ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যমুক্ত আম খাওয়াতে জাতভেদে আম সংগ্রহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়
ভোক্তাদের ভেজালমুক্ত আম খাওয়ানো নিশ্চিতের পাশাপাশি বিদেশে আম রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে।তিনি আরও বলেন, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৬৬ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আম বিক্রির আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার।
https://slotbet.online/