রাজশাহীর বাগমারায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মণ্ডলপাড়ায়। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির পাশে একটি খড়ের ঘরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
আহত জাহিদুল ইসলাম একই গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। এলাকাবাসীর দাবি, এর আগেও জাহিদুল এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হামিরকুৎসা বাজার থেকে ফেরার পর জাহিদুল ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে যান। তার হাতে ছিল দুটি কোমল পানীয়র বোতল। কিছুক্ষণ পর পাশের খড়ের ঘর থেকে জাহিদুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারা দেখতে পান, তার লুঙ্গি রক্তে ভিজে গেছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভ্যানে, পরে মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে কোমল পানীয়র দুটি ফাঁকা বোতল ও রক্তমাখা স্যান্ডেল। ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের দাবি, জাহিদুল জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে কী দিয়ে তার অঙ্গ কাটা হয়েছে, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
আহতের পরিবার জানায়, জাহিদুলের সঙ্গে ওই নারীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে পরিবার অনেক আগেই আপত্তি তুলেছিল। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার শেষে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাটি শুনেছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://slotbet.online/