গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিককে (৩৫) পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী নারী। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) শ্রীপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের নতুন পটকা গ্রামের গভীর গজারি বনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো উপজেলার গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের নতুন পটকা গ্রামের সইদ আলীর ছেলে আলামিন (২৭), সাইফুল ইসলামের ছেলে শান্ত (২৫) এবং মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৬)। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) নয়ন কর। পুলিশ আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, তার স্ত্রী শ্রীপুর পৌরসভার পশ্চিম ভাংনাহাটি এলাকার সিআরসি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কারখানা ছুটি হলে ভিকটিম ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় বাড়িতে ফিরছিল। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নতুন পটকা গ্রামের (স্থানীয় নারিশ কারখানা) সংলগ্ন দোকানের সামনে অটোরিকশা থেকে নমে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। দোকান থেকে কিছু দূরে চলে আসার পথে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আসামিরা ভিকটিমকে জাপটে ধরেন। ভিকটিম চিৎকার দিলে গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে ওই গ্রামের গভীর জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পালক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর কথা বলে ভোরে তাকে ছেড়ে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, সঙ্গবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় একই গ্রামের তিন যুবককে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
https://slotbet.online/