আসন্ন ঈদুল আজহায় বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকা। এই নতুন নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না—এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
শনিবার সকালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) দেশের প্রথম ‘ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিম’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, “নতুন নোটে দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো তুলে ধরা হবে। প্রাথমিকভাবে ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে।”
বাংলাদেশ টাঁকশাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ টাকার নোটের ছাপার কাজ প্রায় সম্পন্ন এবং আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটও ব্যাংকে সরবরাহ করা হবে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে, কোন তারিখে এসব নতুন নোট বাজারে ছাড়বে।
টাঁকশাল আরও জানিয়েছে, নতুন নকশার নোট ছাপাতে সাধারণত ১ থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন নোট ছাপার কাজ চলতি মাসে শুরু হয়েছে। বর্তমানে টাঁকশালের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রথম ধাপে তিনটি নোটই ছাপানো হচ্ছে।
এ সময় পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে গভর্নর বলেন,“অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্টের কারণে বিষয়টি নিয়ে চাপ তৈরি হয়েছে। ফ্রিজ করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
গভর্নর আরও জানান, ‘ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিম’-এর আওতায় পিকেএসএফ-এর অংশীদার মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ তহবিল ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টি দেওয়া হবে। এই গ্যারান্টির বিপরীতে এককালীন ০.৫ শতাংশ হারে কমিশন আদায় করা হবে, যা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি সহজ করবে।
এই পাইলট কর্মসূচিতে সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে বলে জানান গভর্নর।
https://slotbet.online/