এক সময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি এখন আলোচনায় একেবারে ভিন্ন ভূমিকায়—ধর্মীয় অনুশাসনে জীবন যাপন, পারিবারিক সংকট এবং সন্তানকে ঘিরে আইনি লড়াইয়ের কারণে।
অভিনয় থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা হ্যাপি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব এবং সেখানে বারবার তার ব্যক্তিগত সংকট ও সাবেক স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহাকে ঘিরে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি সরাসরি দেশবাসী ও আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “এই দেশে কি কোনো হক্কানী ওলামা নেই? আমাকে একজন জালিম আলেমের হাত থেকে বাঁচান আল্লাহর ওয়াস্তে।”
তার অভিযোগ, মুফতি তালহা তাকে বারবার মানসিক ও আর্থিক নির্যাতনের শিকার করেছেন। সন্তানকে নিয়ে ভয় দেখানো, তালাকের হুমকি, এবং নিজের একাধিক বিয়ের তথ্য গোপন করাসহ নানা অভিযোগ এনেছেন তিনি।
হ্যাপির ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি শুধু একজন অসহায় মা হিসেবে সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। “আমি জানি তার চরিত্র কেমন,” লিখেছেন তিনি, “আমি কখনোই আমার সন্তানকে এমন একজন মানুষের হাতে তুলে দিতে পারি না।”
আইনি সহায়তা চাইলেও তিনি সামাজিকভাবে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একাধিক পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন ‘যৌতুক মামলা’ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং এটিকে সন্তানকে রক্ষা করার একটি ‘কঠিন কিন্তু ন্যায্য’ সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
চলচ্চিত্রে হ্যাপি কাজ করেছেন ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, ‘রিয়েলম্যান’, ‘ছন্দপতন’সহ বেশ কিছু আলোচিত প্রজেক্টে। তবে পর্দার সেই রঙিন জীবন অনেক আগেই ফেলে এসেছেন তিনি। এখন তার জীবন ঘুরপাক খাচ্ছে বাস্তবতার কণ্টকাকীর্ণ পথে—একজন মা, নারী ও ধর্মানুরাগী হিসেবে নিজের অধিকার এবং সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হ্যাপি।
https://slotbet.online/