জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশের পেট্রল পাম্প বন্ধ ও ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
ঐক্য পরিষদ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এটি প্রাথমিক কর্মসূচি সত্ত্বেও যদি দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
মূল ১০ দফা দাবি:
১. জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণ।
২. সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের হারেই বহাল রাখা।
৩. সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা।
৪. বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা।
৫. পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা।
৬. বিপণন কোম্পানির বাইরে অন্য কারো কাছে তেল বিক্রি বন্ধ করা।
৭. ট্যাংক-লরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স সহজে প্রদান।
৮. সব ট্যাংক-লরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট দেওয়া।
৯. ঘরের ভেতর বা যত্রতত্র মেশিন বসিয়ে অননুমোদিত তেল বিক্রি বন্ধ।
১০. খোলা জায়গায় মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
এদিকে এই কর্মসূচির ফলে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের জ্বালানি সংকট ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে পরিবহন খাত, জরুরি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এবং কৃষিখাতের ওপর এর তীব্র প্রভাব পড়তে পারে।
https://slotbet.online/