চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করতে পারলে দেশের দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বিগত সময়ে লুটেরা পুঁজিবাদের কারণে দেশের চোরতন্ত্র এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে রাজনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক আমলা, বিচার বিভাগসহ নানা শ্রেণির মানুষ জড়িত। গত দেড় দশকে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াই দেশের আগামীর শুদ্ধতা ও সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি হবে।
২৬ মে সোমবার দুপুর ১২টায় মোংলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। উপজেলা প্রশাসন, মোংলা সরকারি কলেজ, দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় বাগেরহাট ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর আলম শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোংলা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. অসিত বসু, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য নরেশ চন্দ্র হালদার, স্বদেশ মন্ডল, মোল্লা আল মামুন, সুনীতি রায়, রীতা সরকার ও রোহিনী বরন রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক এস এম মাহবুবুর রহমান।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন মোংলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার ছাত্রছাত্রীরা। পক্ষের দল পরিচালনা করেন অথৈ মিস্ত্রী (দলনেত্রী), লিমন ও সাইবা আক্তার ইতি, বিপক্ষের পক্ষে ছিলেন প্যানিলা বৈরাগী (দলনেত্রী), জিল্লুর রহমান ও তানু খানম। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, প্রভাষক প্রদীপ অধিকারী ও প্রভাষক সাহারা বেগম।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী তার বক্তব্যে বলেন, “নীতি কথা সবাই জানে, কিন্তু মানে না। কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেলে, শ্রমিক শ্রমের যথার্থ মূল্য না পেলে দেশের সমৃদ্ধি আসবে না।”
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখা চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন প্যানিলা বৈরাগী। সবশেষে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী।
https://slotbet.online/