টার্মিনাল সংস্কারের দাবিতে জামালপুরে বাস চলাচল বন্ধ

Reporter Name / ৩১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫


জামালপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের বেহাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রতিবাদে তিন ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চালক ও শ্রমিকরা হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাস দাঁড় করিয়ে অবস্থান নেন। এতে জামালপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা টার্মিনালের জরাজীর্ণ অবস্থা তুলে ধরে দ্রুত সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, জেলার একমাত্র এই টার্মিনালটি বছরের পর বছর অবহেলিত। যাত্রীদের জন্য নেই কোনো আধুনিক সুবিধা, চালক ও শ্রমিকদের জন্য নেই খাবার বা বিশ্রামের ব্যবস্থা, এমনকি শৌচাগার ও গোসলের ব্যবস্থাও অনুপস্থিত। বর্ষা মৌসুমে পুরো টার্মিনাল কাদা ও পানি জমে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঈদ বা উৎসবের সময় যাত্রীচাপ বেড়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়।

বাসচালক জনি মিয়া বলেন, “এই টার্মিনালের অবস্থা দেখে মনে হয় না এটি একটি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় টার্মিনাল। চারদিকে কাদা, ভাঙা রাস্তা, বসার জায়গা নেই, খাবারও মেলে না। এত খারাপ পরিবেশ আর কোথাও দেখিনি।”

শ্রমিক মো. শান্ত বলেন, “আমরা প্রতিদিন এই টার্মিনাল থেকে সারা দেশে বাস চালাই, কিন্তু আমাদের জন্য কোনো সেবা নেই। যাত্রীরাও কষ্ট পায়। বহুবার দাবি জানিয়েও ফল হয়নি, তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এবার যদি সংস্কার না হয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।”

জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও বাস্তবায়ন হয়নি কোনো উদ্যোগ। “আজকের তিন ঘণ্টার কর্মসূচির পর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। তবে দ্রুত সংস্কার না হলে ফের আন্দোলনে যাব।”

অবরোধের কারণে শহরের বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। দুরপাল্লার যাত্রীরা বাস না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাস টার্মিনালের উন্নয়নে ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই টেন্ডার আহ্বান করে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/