ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ১২ দিন আটক থাকার পর ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পুশইন করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং একজন ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী, ৭ জন পুরুষ ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
বিজিবির কুশখালী বিওপি সূত্রে জানা গেছে, পুশইনকৃতদের সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা সবাই পরিবারসহ ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। ১৫ মে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে সীমান্তবর্তী এক স্থানে নিয়ে যায় এবং টানা ১০ দিন আটকে রেখে কখনও কখনও মারধর করে এবং ঠিকমতো খাবার দেয়নি। মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয়।
পুশইন হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন—কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর জাবেদ আলী, স্ত্রী শিউলী বেগম, ছেলে সুমন হোসেন, নুর আলী, সজীব; খুশি বেগম, সম্পা খাতুন; ভুরুঙ্গামারীর মোশাররফ হোসেন, স্ত্রী লাইলি বেগম, কন্যা মোর্শেদা ও মিম, পুত্র লাবিব; মোক্তারকুটির আব্দুল মান্নাফ, স্ত্রী আনজুয়ারা, কন্যা সুমাইয়া, পুত্র আব্দুল্লাহ; বড়ভিটার মজিবর রহমান, স্ত্রী মোর্শেদা; চন্দ্রখানার স্বপ্না বেগম, কন্যা শাফিরানা, দুলালী ও পুত্র শাকিল; এবং ঝালকাঠির দারকীর আব্দুল কাইয়ুম।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি সামিনুর রহমান জানান, বিকেলে বিজিবি পুশইনকৃতদের থানায় হস্তান্তর করে। প্রাথমিক যাচাইয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
https://slotbet.online/