সাগর উত্তাল থাকার কারণে গত তিন দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকেই দ্বীপে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে, যা দ্বীপবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে তিন দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো টেকনাফে নিয়ে আসা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপের পরিস্থিতি খুবই করুণ হবে।”
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে এবং পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ২৮ মে বুধবার সকাল থেকে এসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া এলাকার নাফনদীর তীরে জোয়ারের ঢেউয়ে বেড়িবাঁধ ভাঙছে। এতে সেখানে বসবাসকারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম জানান, “সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের আঘাতে নাফনদীর পাড়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এখানে অর্ধশতাধিক মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, “টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল তিন দিন বন্ধ থাকার ফলে দ্বীপের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সংকট তৈরি হয়েছে। সাথে সাথে দ্বীপবাসীর দুর্দিন চলছে। সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস ও সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন থেকে সব যাত্রীবাহী ট্রলার ও নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পূর্বেই দ্বীপে জেলেসহ প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে সহায়তা পাঠানো হয়েছে। আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই নৌযান চলাচল শুরু হবে। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধ ভাঙনের বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
https://slotbet.online/