মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সদরপুর ঘোনা এলাকায় একটি কালীমন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ মে) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডে মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রতিমা এবং মন্দির ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্দিরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে নাকি কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়েছে—তা খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সেখানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের দিকে মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিতাই চন্দ্র দাস জানান, ‘এই মন্দিরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালানো হয় এবং বছরে একবার পূজা হয়। এলাকার কারও সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই।’
ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এটি দুর্বৃত্তদের কাজ, না কি বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে ঘটেছে—তা তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে।’
https://slotbet.online/