কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫


কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পানির টিউবওয়েলের হাতা চুরির অপবাদে মিন্টু (২৬) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে রায় ঘোষণার পরপরই কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৪৩) ও আমিন উদ্দিন (৫৭)। মামলার বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হাফিজুল ইসলাম মুনির গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে মিন্টুকে পূর্ব শত্রুতার জেরে টিউবওয়েলের হাতা চুরির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁদে ফেলে। অভিযুক্তরা মিন্টুকে গ্রামের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মিন্টুকে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরদিন নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দীর্ঘ সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত আজ ১৪ জনকে খালাস দেন এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

তবে রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মিন্টুর পরিবার। তাদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িত ছিলেন, কিন্তু তারা আইনের ফাঁক গলে বেঁচে গেছেন। পরিবারের সদস্যরা উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/