বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সুন্দরবনের গহীনে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানির উচ্চতা বেড়েছে। এর ফলে শেলার চর, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি হরিণ শাবককে উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শেলার চর ফরেস্ট অফিসের পাশে ভেসে যেতে দেখা গেলে বনরক্ষীরা শাবকটিকে উদ্ধার করেন।
চাঁদপাই রেঞ্জের বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা ও সুন্দরবনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে বাড়ছে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি। স্বাভাবিকের তুলনায় পানি ২-৩ ফুট বেড়ে গেছে। এর ফলে সুন্দরবনের মেলার চর, করমজলসহ একাধিক নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে বনের বন্যপ্রাণীরা।
বন বিভাগ জানায়, অতিরিক্ত পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় শেলার চর ফরেস্ট অফিসের বনরক্ষীরা একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শেলার চর টহল ফাঁড়ির বন প্রহরী মো. মমিন শরীফ বলেন, “সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগরপাড় ও সুন্দরবনে প্রচণ্ড বাতাস ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় দমকা বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টি। আমরা সবাই টহল অফিসে অবস্থান করছিলাম। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেখি পানিতে কিছু একটা ভেসে যাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ শাবক পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। আমরা তিনজন মিলে দ্রুত সেটিকে উদ্ধার করি।”
তিনি আরও জানান, “শাবকটি দীর্ঘক্ষণ পানিতে সাঁতার কাটার কারণে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাকে অফিসে এনে পরিচর্যা করা হচ্ছে। সুস্থ হলে শাবকটিকে আবার বনেই ছেড়ে দেওয়া হবে।”
https://slotbet.online/