বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই অনাস্থার মুখে পড়েছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ডের বর্তমান ও সাবেক আটজন পরিচালক তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উত্থাপন করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বর্তমান পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, সাবেক পরিচালক মাহবুব উল আনাম, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, ফাহিম সিনহা, মঞ্জুর আলম, সাইফুল আলম স্বপন, কাজী ইনাম আহমেদ ও সালাউদ্দিন চৌধুরী।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর ফারুক আহমেদ বোর্ডের বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠনে অতিরিক্ত সময় নিয়েছেন এবং পুনর্গঠন শেষে তিনি একক আধিপত্য ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যার ফলে অধিকাংশ পরিচালক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এতে বোর্ডে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
পরিচালকরা উল্লেখ করেছেন, প্রেসিডেন্ট বোর্ড পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করছেন না। কমিটির এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও কোনো পরামর্শ ছাড়াই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি, যার ফলে কমিটির কার্যকারিতা ব্যাহত হচ্ছে।
জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অপসারণের বিষয়েও কোনো বোর্ড সভা বা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা জানান, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা মানেননি ফারুক আহমেদ। এই সিদ্ধান্তের কথা তারা জানতে পারেন পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ না করে বরং তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বিপিএল পরিচালনায়ও নাকি চরম অব্যবস্থাপনা হয়েছে এবং ক্লাব পর্যায়ের দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছেন বোর্ড সভাপতি, যা বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। এছাড়া জাতীয় দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্যও সরাসরি ফারুক আহমেদকে দায়ী করেছেন ওই পরিচালকরা।
এই চিঠির মাধ্যমে বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেল স্পষ্টভাবে, যা বিসিবির অভ্যন্তরীণ সংকটকে সামনে নিয়ে এসেছে। এখন দেখা যাক, বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়।
https://slotbet.online/