বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে এই ধরনের নির্বাচন জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন হোক, যা দেশের জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে এক বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা হবে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক। এই নির্বাচন ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতায় গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং জনগণের ক্ষমতায়ন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ ও প্রত্যাশা আরও জোরালোভাবে উঠে এসেছে।
https://slotbet.online/