জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—যেসব প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সম্মতি থাকবে, কেবল সেগুলোকেই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব না হলেও, সময়ের বাস্তবতা বিবেচনায় কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেস্ট সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধি অংশ নেন।
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, “একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামোর মধ্য দিয়ে আমরা এমন কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে চাই, যেখানে ন্যূনতম ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব। যেসব প্রস্তাবে ঐকমত্য তৈরি হবে না, সেগুলোকেও নথিভুক্ত করা হবে ‘আলোচিত হলেও সম্মত হয়নি’—এইভাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সম্মিলিত সংলাপের মাধ্যমে কাজ করছি, যাতে প্রতিটি পক্ষ অন্যদের যুক্তি শোনার সুযোগ পায় এবং মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এর ফলে একটি বাস্তবসম্মত ও কার্যকর সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিটি দল তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান, ইশতেহার ও দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে। তবে কেউ যদি বাড়তি কোনো প্রস্তাব যুক্ত করতে চায়, তার সুযোগও রাখা হবে।
সংলাপের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের মূল লক্ষ্য—রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা।
https://slotbet.online/