[ad_1]
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরল ফুটবলের প্রাণ, ছিল দর্শকদের জোয়ার। ভাটা পড়া ফুটবল যেন আত্না ফিরে পেল; আর সেই মঞ্চে এক অভিষেক নায়ক আরেক যুদ্ধপ্রিয় সৈনিকের জয়োল্লাসে ভাসল পুরো বাংলাদেশ। লেস্টার সিটি থেকে লাল-সবুজ জার্সিতে নামা হামজা চৌধুরী আর অভিজ্ঞ সোহেল রানার দৃষ্টিনন্দন দুই গোলে ভুটানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সাহস, ছন্দ আর স্বপ্নে ফিরল বাংলার ফুটবল।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আসে প্রথম বিস্ময়। জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে ভেসে উঠলেন হামজা, হেডে গোল, জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বপ্নময় শুরু। গ্যালারিতে তখন একটাই সুর—“বাংলাদেশ, বাংলাদেশ”। যেন শত হৃদয়ে বাজছিল একটাই আবেগ।
প্রথমার্ধে আরও সুযোগ এসেছিল, যেমন ফাহমিদুলের শট, জামালের দূরপাল্লার প্রচেষ্টা। কিন্তু ভুটানের গোলরক্ষক জিয়েলশেন জাংপো রুখে দিয়েছিলেন বারবার।
বিরতির পর নামেন বদলি খেলোয়াড় শেখ মোরসালিন, সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি। তবে ঠিক দু’মিনিট পরেই আসে আরেকটি কবিতার মতো মুহূর্ত—৪৯ মিনিটে সোহেল রানার বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এই শটে ছিল বিদ্যুতের ঝলকানি, জাংপো কিছুই করতে পারেননি।
ভুটান অবশ্য হাল ছাড়েনি। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে বাঁচান মিতুল মারমা, ৭৭ মিনিটে জিয়েলশনের হেড অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে। কিন্তু ভাগ্য ও দক্ষতা মিলে আজ ছিল বাংলাদেশের পক্ষে।
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তেও দুই গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভ যেন ম্যাচটিকে আরও নাটকীয় করে তোলে। ইব্রাহিমের শট ঠেকান জাংপো, আর যোগ করা সময়ে জিগমে নামগিয়ালের বিপক্ষে মিতুলের লাফিয়ে সেভ—সেই ছিল শেষ রক্ষাকবচ।
সবশেষে স্কোরবোর্ড বলে দেয়, বাংলাদেশ ২, ভুটান ০। তবে তার চেয়েও বেশি বলেছে মাঠের খেলা—এটা শুধুই জয় নয়, এটা এক নবজাগরণের বার্তা। জামালের প্রতিশোধ, হামজার স্বপ্নযাত্রা, সোহেলের সাফল্য—সব মিলিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল যেন ফিরে পেল নিজের হারানো আত্মা।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com