[ad_1]
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের দুই ছেলে সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে নিয়ে প্রেমিক সজিব মিয়া উধাও হয়েছেন। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকের পুরনো বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ রায়পুরা থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের কামাল মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে প্রবাসী ইউসুফের ২০১০ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জোনায়েদ ও বায়োজিদ নামে দুই ছেলে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানিয়া আক্তার ও প্রেমিক সজিব মিয়া আত্মীয়স্বজন হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের মাধ্যমে সজিব মোটা অঙ্কের অর্থও আত্মসাৎ করেন।
এলাকার আমির, সুমনসহ অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া ও সজিব দীর্ঘ পাঁচ বছর পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানে একাধিক সালিশের আয়োজন করেন, তবে কোনো ফল হয়নি। কয়েকদিন আগে তানিয়া দুই ছেলেকে বাড়িতে রেখে প্রেমিক সজিবের সঙ্গে পালিয়ে যান।
প্রবাসী ইউসুফের মা ফাতেমা বলেন, আমার পুত্রবধূ দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল এবং আমার ছেলের প্রবাসের কষ্টার্জিত অর্থ সজিবকে দিয়ে দিত। সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। কয়েকদিন আগে সে সজিবকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সজিবের পুরনো বসতঘরে ভাঙচুর চালায়।
তিনি আরও জানান, তার ছেলেরা সবাই প্রবাসে থাকায় বাড়িতে পুরুষ সদস্য কম থাকায় মেয়ে নাছিমা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রবাসী ইউসুফ বিদেশ থেকে জানান, তানিয়া আগেও একাধিকবার পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। প্রতিবার ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফিরে আসতেন। এবার সজিবের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তার প্রবাসের টাকায় কেনা কয়েক ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। এমনকি একটি জমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জানান, তার শালার স্ত্রী তানিয়া পাঁচ বছর ধরে সজিবের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন এবং প্রবাসী ইউসুফের অর্থ সজিবের পরিবারকে দিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ করে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সজিবের মা লুৎফা বেগম অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তার বসতঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেওয়া হয়েছে। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক শফিউল্লাহ জানান, তানিয়া ও সজিবকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অপর উপপরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
[ad_2]
https://slotbet.online/