ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
দুর্ঘটনায় স্থানীয় বিজে মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের একটি আবাসিক এলাকায়, যেখানে তখন অনেকেই দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো। আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনেই এই তদন্ত চলবে। তিনি আরও জানান, এ ছাড়া একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেবে।
দুর্ঘটনার পরপরই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেন। তদন্তে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং যুক্তরাজ্য থেকেও বিশেষজ্ঞ দল গুজরাটে পাঠানো হয়েছে।
বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল এবং সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার। শেষ মুহূর্তে পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন, তবে বিমানটি খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং আবাসিক ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তকারীরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করছেন।
এটি ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিমানে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, যিনি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
https://slotbet.online/