আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিপর্যয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “আওয়ামী লীগের ভুল ছিল, আর আজকের এই পরিণতি সেই ভুলেরই শাস্তি।”
শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটি কার্যত ভেঙে পড়ে। দলীয় কাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিকে “দুঃখজনক হলেও অবশ্যম্ভাবী” বলে বর্ণনা করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।
তার শ্যালক ডা. আনম নওশাদ খান একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, আবদুল হামিদ নিজের পরিবারে এখন পুরোপুরি অবসরজীবন কাটাচ্ছেন এবং রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত নন। তবে তিনি এখনো দেশ ও রাজনীতির খোঁজখবর রাখেন। তিনি বলেন, “তিনি প্রায়ই বলেন, আমাদের ১৬ বছরের শাসনামলে অনেক ভুল হয়েছে। তা না হলে এমনটা হতো না। আজকের অবস্থা আমাদেরই ভুলের ফল।”
আবদুল হামিদ স্মরণ করেন, ২০১২ সালে স্পিকার থাকা অবস্থায় তিনি সতর্ক করেছিলেন, ‘সরকার স্বৈরাচারী হলে জনগণ বেশিদিন সায় দেবে না।’ তখনো তিনি দলীয় নেতৃত্বকে সোজাসাপটা কথা বলতেন, এমনকি শেখ হাসিনাকেও।
শারীরিকভাবে তিনি এখন বেশ দুর্বল। ফুসফুসের ক্যানসারের থ্রি-টু-ফোর স্টেজের মধ্যে আছেন, চলাফেরায় সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, এমনকি নামাজ আদায়েও অক্ষম। তবে মানসিকভাবে দেশের মাটিতে ফিরে তিনি স্বস্তি বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তার শ্যালক।
ডা. নওশাদ জানান, “অনেকে বলেছিলেন বিদেশেই থেকে যেতে, কিন্তু তিনি বলেছিলেন, দেশে ফিরতেই হবে। প্রয়োজনে দেশের মাটিতেই মরব। এখানেই তো আত্মীয়স্বজন, আপন মানুষ।”
আবদুল হামিদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে যদি রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তবে অতীতের ভুলগুলোর বিশ্লেষণ ও স্বীকারোক্তি ছাড়া তা সম্ভব হবে না।
https://slotbet.online/