২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা আসার পর এনসিপির দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে ফেসবুকে শুরু হয়েছে জমজমাট কথার লড়াই। নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচার ইস্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আর সেই পোস্টেই রীতিমতো খোঁচা দেন দলের আরেক নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী।
শুক্রবার লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর রাতেই ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান হাসনাত। তিনি বলেন, “বৈঠকে নির্বাচনের সময় ঘোষণার চেয়ে বিচার ও সংস্কার ইস্যু গুরুত্ব পায়নি—এটাই হতাশার।”
তার ভাষায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো তত্ত্বাবধায়ক কাঠামো নয়, বরং এটি একটি অভ্যুত্থানের ফল এবং জনগণের ত্যাগের ভিত্তিতে গঠিত। তাই জুলাইয়ের মধ্যে “জুলাই সনদ”, দৃশ্যমান বিচার ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা অর্থহীন।
পোস্টের শেষদিকে হাসনাত লিখেন, “নির্বাচনের মাস এপ্রিল হোক বা ফেব্রুয়ারি, আসল প্রশ্ন হলো—সংস্কার আর বিচার হবে কি না।”
এই বক্তব্যের নিচে মন্তব্য করেন এনসিপির প্রভাবশালী নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি লেখেন, “হাসনাত, ভোটে জেতা এত সহজ? মেম্বার ইলেকশন করলেও তো জিতবা না। আগে মেম্বার ইলেকশনে জিতে দেখাও।”
তীব্র কটাক্ষের সেই মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি পাল্টা লেখেন, “আপনাদের সরকারকে মেম্বার ইলেকশন দিতে বলেন আগে।”
নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় অভ্যন্তরে এমন খোলামেলা ঠান্ডা যুদ্ধ জনমনে কৌতূহলের পাশাপাশি রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়িয়ে দিয়েছে।
https://slotbet.online/