আজ শুক্রবার সকালে লন্ডনের পার্ক লেন হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক শুরু হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টা) শুরু হওয়া এই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। বৈঠকের পূর্বে গত কয়েকদিনে প্রতিনিধিদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার একটি সূত্র।
সূত্র মতে, এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করা হয়েছে, তা যৌক্তিক নয় বলে মনে করছে বিএনপি। তারা চাইছে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা পরবর্তী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ, বিচারিক সংস্কার এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা হয়। আর তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সময়সূচি, রোডম্যাপ, প্রশাসনিক কাঠামো ও দলীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার বিষয়গুলো জোর দিয়ে তুলে ধরা হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রত্যাশা প্রবল। আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী, তিনি সব মামলায় খালাস পেয়েছেন। সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল বলেন, “তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।”
এই পটভূমিতে বৈঠকটি বিএনপির নেতৃত্ব পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিকভাবে পুনরায় মাঠে সক্রিয় হবার দিকেও ইঙ্গিত করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বৈঠককে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ভোর থেকেই হোটেল ডোরচেস্টারের সামনে জড়ো হন এই বৈঠক ঘিরে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই বৈঠকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ই আসবে, বিশেষ করে নিরপেক্ষ সরকার, আইন-শাসনের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।”
https://slotbet.online/