[ad_1]
টানা ১০ দিনের ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে খুলছে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো। আর তাই রাজধানীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। ফলে আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীমুখী সড়ক, রেল ও নৌপথে বেড়েছে মানুষের ভিড় ও যান চলাচলের চাপ।
গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদসহ ঢাকার প্রধান বাস টার্মিনালগুলোতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের বিপরীত চিত্র—ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালের দিকের বাসগুলোতে যাত্রী ছিল সবচেয়ে বেশি। হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন জানান, সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত চাপ কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর আবার যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে কোথাও বড় ধরনের যানজট নেই বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। তবে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতুতে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনেও একই চিত্র। কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ট্রেনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। অনেকেই দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে রাজধানীতে পৌঁছেছেন। স্বাস্থ্যবিধি বা মাস্ক পরার বালাই ছিল না বললেই চলে। এক যাত্রী জানান, ‘পুরোটা পথ দাঁড়িয়ে এসেছি, কিন্তু মাস্ক পরিনি। করোনা নিয়ে এখন আর কেউ ভাবে না।’
স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে ২৩টি ট্রেন ছেড়ে গেছে এবং ১৪টি ট্রেন এসেছে। ট্রেনের সময়সূচি বেশিরভাগই স্বাভাবিক রয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লঞ্চগুলোতে ছিল যাত্রী উপচে পড়া ভিড়। যদিও অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করা লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে দেখা যায়নি, তবে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সর্বমোট, কর্মস্থলে ফেরার যাত্রায় স্বস্তির পাশাপাশি জনদুর্ভোগও কম নয়। আগামীকাল থেকে পুরোদমে শুরু হতে যাচ্ছে রাজধানীর চিরচেনা কর্মব্যস্ততা।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com