লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বৈঠককে স্বাভাবিক বললেও, বৈঠক-পরবর্তী যৌথ প্রেস ব্রিফিং ও বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
শনিবার রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৈঠক শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনূস-তারেক বৈঠক নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, তা স্বাভাবিক। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে বৈঠকের পর বিদেশের মাটিতে যৌথ ব্রিফিং ও বিবৃতি প্রদান রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং তা দেশের বহু-দলীয় রাজনৈতিক কাঠামোর জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা।”
জামায়াতের দাবি, এই যৌথ ব্রিফিংয়ে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে। দলটি মনে করে, দেশে ফিরে এসে সকল দলের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিলে তা অধিক গ্রহণযোগ্য হতো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি কূটনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় জামায়াতও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিং নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এতে জনগণের মাঝে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জামায়াত আশা প্রকাশ করে, অন্তর্বর্তী সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে, বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
https://slotbet.online/