অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়– এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হবে। এ রকম আরও যারা আছেন, তাদের মতামত নিয়ে কাজ করতে চান তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এ কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার প্রথম পর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন কবিরও উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, তারেক রহমান মনে করেন, জাতীয় স্বার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রয়োজন আছে। যদি জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করে, তাহলে তারেক রহমান সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। তিনি সেটাই উপস্থাপন করেছেন।
এর আগে গত বুধবার লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে অনুষ্ঠিত সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে।’
গতকালের বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় তারেক রহমান বিএনপির পূর্বঘোষণা এবং ৩১ দফা অনুযায়ী সব দলমতের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে আগামীর রাষ্ট্র বিনির্মাণে পাশে চান তিনি। তাঁর মতো অন্য যোগ্যদেরও দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
নির্বাচনের বাইরে আর কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে– জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত আলাপে অনেক কিছু উঠে এসেছে। যেটা জেনেছি, খুবই ফলপ্রসূ ও আন্তরিক আলাপ হয়েছে। দেশ নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা বিনিময় হয়েছে। কীভাবে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
https://slotbet.online/