ইউরোপের শান্তিপ্রিয় দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগালের অবস্থান ১২তম হলেও বিভিন্ন কারণে দেশটি দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। শান্তিপূর্ণ এই দেশটিতে শুক্রবার ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা—আলমাদায় সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
নিহত মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে বসবাস করছিলেন এবং আলমাদা শহরে একটি মিনিমার্কেট পরিচালনা করছিলেন। আশপাশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত মাহবুবুল আলম ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় ও সদালাপী মানুষ।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। তারা দোকানে ঢুকেই হামলা চালায়। হামলার আকস্মিকতা ও নৃশংসতায় মাহবুবুল আলম গুরুতরভাবে আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পর্তুগালে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা জানান, তারা সরকারের কাছে জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছেন—এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে হবে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, পর্তুগালের মতো একটি নিরাপদ দেশে এমন ঘটনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসীদের অতিসত্বর আইনের আওতায় আনা জরুরি।
https://slotbet.online/