আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিমানটির যাত্রী ও ক্রু ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটটি। লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ মডেলের বিমানটি মেঘানিনগর এলাকায় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিক কোয়ার্টারে আছড়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
সূত্র: এনডিটিভি।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ছিলেন—২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কেবল একজন যাত্রী বেঁচে গেছেন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে সাবেক গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন।
সূত্রমতে, নিহতদের মধ্যে ১০ জন চিকিৎসক ও তাদের আত্মীয়রা ছিলেন, যারা দুর্ঘটনার সময় বিএজে মেডিকেল কলেজের আবাসিকে অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া ২৪ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করা হয় শতাধিক কর্মী ও ৪০ জন প্রকৌশলীকে। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে, যা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদ থেকে পাওয়া যায়। এই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে সহায়তা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমানটির পাইলট উড্ডয়নের পরপরই ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন, যা পূর্ণ সংকটের ইঙ্গিত দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উড্ডয়নের পর বিমানটির ইঞ্জিনে গতি বৃদ্ধির ঘাটতি ছিল। সম্ভবত বার্ড হিট (পাখির ধাক্কা) বা ফ্ল্যাপ/ইঞ্জিন কন্ট্রোলে ত্রুটিও এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রী ও অন্যান্য আহতদের খোঁজখবর নেন এবং উদ্ধারকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এই দুর্ঘটনাকে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
https://slotbet.online/