সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলার পটভূমিতে ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আর কোনো যৌক্তিকতা তারা দেখছে না। তেহরানের দাবি—এই হামলায় ওয়াশিংটনের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে আলোচনার পরিবেশ নেই।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসামাইল বাগাই বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একদিকে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়, আরেকদিকে ইসরায়েলকে আমাদের ওপর হামলার সুযোগ করে দিচ্ছে—এটা একসঙ্গে চলতে পারে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করেছে, এবং তাদের সাম্প্রতিক হামলা কোনোভাবেই মার্কিন অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়।
ইরান স্পষ্ট করে জানায়, এই পরিস্থিতিতে পরমাণু আলোচনার কোনো মানে নেই। তেহরানের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকা অসৎ এবং দ্বিচারিতায় ভরা। ফলে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়নি।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে ইরান বলছে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা আরও বাড়াবে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। এক সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা সতর্ক করে জানিয়েছেন—“যেসব দেশ ইসরায়েলকে রক্ষা করতে চায়, তাদের ঘাঁটিও আমাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
https://slotbet.online/