ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে নিরপেক্ষভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের। এ লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, কমিশনের ভূমিকা হবে রেফারির মতো—যারা খেলবে খেলুক, যারা জিতবে জিতুক।
রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটির পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই সভায় কমিশনের অন্যান্য কমিশনার, সচিব এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“আমাদের দায়িত্ব হলো একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই আমরা বদ্ধপরিকর। নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখন যেসব কাজ বাকি আছে, তা সবাই মিলে সম্পন্ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের শপথ হতে হবে—একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। রমজানেও যারা নিরপেক্ষভাবে কাজের অঙ্গীকার করেছিলেন, আজ আবার সেই শপথ পুনর্ব্যক্ত করার সময় এসেছে। কোনো দলের পক্ষে পক্ষপাত নয়, আইন ও ন্যায়বিচার মেনে কাজ করতে হবে।”
সিইসি জানান, সরকার লন্ডন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্বনেতাদের কাছে এই নির্বাচনকে ঐতিহাসিকভাবে গ্রহণযোগ্য করার অঙ্গীকার করছে। এর অর্থ, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো এ সময় নির্বাচন হলে প্রচারে বিঘ্ন ঘটবে উল্লেখ করে তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
সম্প্রতি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক এবং পরবর্তীতে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচন আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে এগিয়ে এনে ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের আভাস দেওয়া হয়, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে।
https://slotbet.online/