সুন্দরবনের ডে ভিজিটর সেন্টার ‘করমজল’–কে বন বিভাগের তিন মাসব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রেখে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতির দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
১৫ জুন (রবিবার) সকাল ১১টায় মোংলার ফেরিঘাট এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর, মোংলা বন্দর ডেনিস বোট মালিক সমবায় সমিতি, মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝি-মাল্লা সংঘ ও মোংলা বন্দর স্টিল লঞ্চ মালিক সমবায় সমিতি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাঝি-মাল্লা ইউনিয়নের নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি মোঃ নূর আলম, পর্যটন ব্যবসায়ী মোঃ আনিসুর রহমান, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটরের তানজির হোসেন রুবেল, এনামুল হুদা বুলবুল, শামস রুবেল, সাবেক কাউন্সিলর ও পর্যটন ব্যবসায়ী এম এ কাদের, সুন্দরবন ওয়াবদা পারাপার মাঝি-মাল্লা সমিতির সভাপতি মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ সোহাগ, মোঃ মাসুদ রানা, মোংলার পর্যটন ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ এমাদুল হাওলাদার, বাইজিদ বোস্তামীসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, “প্রতি বছরের মতো এ বছরও বন বিভাগ ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ ও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যা বন্যপ্রাণী ও মৎস্যসম্পদের সুরক্ষার জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে করমজল যেহেতু একটি ডে ভিজিটর সেন্টার এবং রাতে অবস্থান নিষিদ্ধ, সেখানে সীমিত পরিসরে দিনে ঘোরাঘুরি বন্যপ্রাণীর প্রজননে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই করমজলকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞার কারণে করমজল কেন্দ্রিক শত শত মাঝি-মাল্লা, ট্যুর গাইড ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবিকা চরম হুমকিতে পড়েছে। অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত করমজল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ সহায়তা, বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে প্রণোদনা দিতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে সরকারকে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। একই সঙ্গে করমজলকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
https://slotbet.online/