আষাঢ়ের প্রথম সকালে মেঘ-রোদের লুকোচুরি আর সুর-ছন্দের মেলবন্ধনে বর্ষাকে বরণ করে নেয়া হলো প্রাণবন্ত এক আয়োজনে। রোববার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুরু হয় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই ‘বর্ষা উৎসব’ ছিল গান, আবৃত্তি, নাচ ও আলোচনায় সমৃদ্ধ।
শুরুতেই শিল্পী সোহানী মজুমুদার সেতারে পরিবেশন করেন ‘রাগ আহীর ভৈরব’, যার সুরে ভিজে যায় বকুলতলার সকাল। এর পরপরই বর্ষা কথন পর্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও ঘোষণা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
মূল সাংস্কৃতিক পর্বে একে একে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা—ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, ও শ্রাবনী গুহ রায়।
আবৃত্তির আবহে শ্রোতারা মুগ্ধ হন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অন্যান্য আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে।
নৃত্যের বর্ণিল উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতিয়ে তোলে বিভিন্ন দল: ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস এবং নৃত্যম।
সবশেষে পরিবেশ-সচেতনতার বার্তা দিতে শিশু-কিশোরদের মাঝে প্রতীকীভাবে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়—বর্ষাকে বরণ করার পাশাপাশি ধরিত্রীকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে।
https://slotbet.online/