সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হামলার ফলে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই হামলার আঘাতে তেল আবিবে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দূতাবাসটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে অবস্থানরত প্রায় সাত লাখ মার্কিন নাগরিককে ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “মার্কিন স্বার্থ কিংবা ঘাঁটির ওপর কোনো আঘাত হলে, আমেরিকা পূর্ণ শক্তি নিয়ে পাল্টা জবাব দেবে।”
উল্টো দিক থেকে ইরানও পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ‘ইসলামী সেনাবাহিনী’ গঠন করে মধ্যপ্রাচ্যে লড়াই অব্যাহত রাখবে। ইরানি নেতা মহসেন রেজাই জানান, এই সেনাবাহিনীতে সৌদি আরব, পাকিস্তান ও তুরস্ককেও যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,৫০০ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, চলমান এই সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এবং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে।
https://slotbet.online/