[ad_1]
নজিরবিহীন তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। চলমান এই অতিরিক্ত গরমে দেশটির তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ফলে পর্তুগালের আবহাওয়া অফিস সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং লিসবনের পাশের শহরগুলোতে বড় ধরনের দাবানলের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব দ্য সি অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারের (আইপিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, মূল ভূখণ্ড পর্তুগাল ছাড়াও মাদেইরা ও আজোরস দ্বীপপুঞ্জে অতিবেগুনি (আল্ট্রা ভায়োলেট) বিকিরণের উচ্চ ঝুঁকি বিদ্যমান।
আজ, লিসবনসহ পাশের জেলাগুলো, যেমন পোর্টালেগ্রে, ইভোরা, বেজা ও ফারো—সবখানেই অতিবেগুনি বিকিরণের এক্সপোজারের ‘খুব উচ্চ ঝুঁকি’ রয়েছে। তাপমাত্রা থাকবে ২৪ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কাস্তেলো ব্রাঙ্কো বর্তমানে সবচেয়ে উষ্ণ জেলা এবং ভিসেউ সবচেয়ে শীতল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হতে এবং সাবধানে চলাচল করতে।
সপ্তাহান্তে পর্তুগালের সব জেলা ‘খুব উচ্চ ঝুঁকিতে’ থাকবে এবং সোমবার নয়টি জেলায় থাকবে ‘উচ্চ’ স্তরের সতর্কতা, বাকি জেলাগুলো থাকবে ‘মাঝারি’ সতর্কতায়। আজোরস দ্বীপপুঞ্জে আজ থেকে সোমবার পর্যন্ত অতিবেগুনী বিকিরণের ঝুঁকি রয়েছে। মাদেইরা দ্বীপ ও পোর্তো সান্তোতেও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সাধারণত প্রতি বছর জুলাইয়ের শেষ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ পরিলক্ষিত হয়। তবে এবারের গরম অতীতের তুলনায় অনেক বেশি, যা লিসবন ও আশপাশের জেলাগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে।
তীব্র গরমে শহরবাসী হাঁপিয়ে উঠলেও অনেকেই স্বস্তির খোঁজে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভিড় করছেন। গরম যতই অস্বস্তিকর হোক না কেন, পর্যটকদের জন্য এটি বরং একটি অনুকূল পরিবেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—কারণ এই গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার কারণেই প্রতি বছর লাখো পর্যটক ভ্রমণে আসেন পর্তুগালে।
তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব দ্য সি অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারের পরামর্শ, যতটা সম্ভব সরাসরি রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং অতিবেগুনী এক্সপোজার এড়িয়ে চলতে হবে।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com