৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। রোববার (২৯ জুন) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে ২৫ জুন সরকার এক ঘোষণায় তিনটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত জানায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত পৃথক তিনটি পরিপত্র জারি করা হয়।
প্রথম পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য।
দ্বিতীয় পরিপত্রে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে দিনটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
তৃতীয় পরিপত্রে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যেদিন গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এই দিবসটি জাতীয় দিবসের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ আগস্ট দিবসটি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা বিতর্ক ও আপত্তি ওঠায় সরকার শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। বিভিন্ন মহলের পরামর্শ ও জনমত বিবেচনায় নিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
https://slotbet.online/