দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির এক সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধতা দিয়েছে, তারাই এখন ‘সংস্কার কমিশন’ নাম দিয়ে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাচ্ছে। তাদের তিনি “চরের দল” আখ্যা দেন। একই অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত জামায়াত দখল করে ফেলেছে।

শনিবার চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপির দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়। সেখানে সালাহউদ্দিন বলেন, “গণতন্ত্রের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া হলেও তা স্বল্পমেয়াদে সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সংবিধানসহ সকল কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”

তিনি আরও বলেন, “দ্বিমত থাকলেও যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি, তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চাইলে তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার রক্ষায় বিএনপি আবারও সংগ্রামে নামবে।”

সমাবেশে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই। আমরা অপেক্ষায় আছি, একজন ভদ্রলোক ওয়াদা করেছেন—তিনি সময়মতো নির্বাচন দেবেন।”

তিনি জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত জামায়াত দখল করে ফেলেছে। তারা নির্বাচনে না গিয়ে সংস্কারের বুলি আওড়ায়, অথচ ভারতের দালালি করে। আওয়ামী লীগের খারাপ লোকদেরও তারা নিজেদের দলে নিচ্ছে। পরাগ মণ্ডল অপহরণের ঘটনাও এখন জামায়াত সংশ্লিষ্ট। জনগণকে জামায়াত সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী।