সালাউদ্দিনের গোলের সুরে, ঋতুপর্ণার পায়ে নতুন ভোর

Reporter Name / ৪ Time View
Update : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫


১৯৮০ সালে কুয়েতের মাটিতে যখন বাংলাদেশ প্রথম ও একমাত্রবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলেছিল, সেই ইতিহাস গড়েছিলেন কিংবদন্তি কাজী মো. সালাউদ্দিন। দীর্ঘ ৪৬ বছর পর সেই স্মৃতি আবার ফিরিয়ে আনলেন আরেক ইতিহাসনির্মাতা—পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা। তবে এবার পতাকা ওড়াবে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।

এশিয়ার সর্বোচ্চ ফুটবল আসরে নারীরা প্রথমবারের মতো খেলবে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে পিটার বাটলারের দল। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট, ১৬ গোলের বিপরীতে হজম মাত্র একটি।

১৯৭৯ সালে বাছাইপর্বের ম্যাচে আফগানিস্তান ও কাতারকে হারিয়ে পুরুষ দল জায়গা করে নেয় এশিয়ান কাপে। সেই পথের নায়ক ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন—যার শেষ মুহূর্তের জয়সূচক গোল আজও ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল। আর এবার মিয়ানমারের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ঋতুপর্ণা চাকমা গড়েছেন নতুন ইতিহাস।

শুধু এই ম্যাচেই নয়, বাহরাইনের বিপক্ষে গোল দিয়ে শুরু করা এই তরুণীর পায়ে ছিল ছন্দের ঝংকার। ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে তাদের মাঠেই হারিয়ে দেওয়া ছিল সাহসের পরিচয়। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জয়সূচক গোলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেন তিনি ইয়াঙ্গুনেও। তার ফুটওয়ার্ক, গতি ও ফিনিশিং আজ সামাজিক মাধ্যমে তুলনা পাচ্ছে মেসির সঙ্গে।

৪৬ বছর আগে পত্রিকার পাতায় জায়গা করে নেওয়া সালাউদ্দিন আজ হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেয়েদের। তিনি বলেন, “ওদের এই অর্জনে আমি অনেক খুশি।”

নারী ফুটবলের ভিত্তি গড়ার পেছনে কাজী সালাউদ্দিনের অবদানও ছিল উল্লেখযোগ্য। বছরের পর বছর ক্যাম্পে রেখে মেয়েদের প্রস্তুত করা—সেই সাহসী সিদ্ধান্তের ফল আজ এসেছে গর্ব হয়ে।

সালাউদ্দিনের পায়ে শুরু, ঋতুপর্ণার পায়ে নবযাত্রা—বাংলাদেশ এখন আবার এশিয়ার আলোয় উজ্জ্বল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/