সিলেটের এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচিত সরকারের চেয়ে শক্তিশালী কিছু হতে পারে না, আর এজন্য দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ তত পিছিয়ে যাবে।” এসময় তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন, বক্তব্যের এক পর্যায়ে একজন সাংবাদিককে বলেন, আপনি আসেন, কথা বলেন। অনেক সাংবাদিকের ভিড়ে এই কথা বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, আপনারা এত কথা বললে, আমি এখান থেকে চলে যাবো।
তিনি বলেন, “বিনিয়োগ আসবে না, চাকরির সুযোগ তৈরি হবে না, বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে—এই সরকার আর চলতে পারে না।”
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সিলেটের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গণতন্ত্রের জন্য নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “চব্বিশের আগেই সিলেটের বহু ভাই-বোন মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, কারাবন্দি হয়েছেন। হাসিনার সরকার আমার ভাই, আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের লড়াইয়ে তাঁদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না।”
তিনি দাবি করেন, “হাসিনার পতন এমনি এমনি হয়নি। এটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। কিন্তু এখনো লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, নারীদের নিরাপত্তা ও তরুণদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই দলের উত্তরসূরি, যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। শেখ মুজিব চারটি পত্রিকা রেখে বাকিদের বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই একদলীয় স্বৈরতন্ত্র ভেঙে জনগণের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন জিয়াউর রহমান।”
উক্ত দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/