একজন ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ১৬ জুলাই কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখে, যা দেশটির প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করেন।
কেরালার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে পেশাগত কারণে ইয়েমেন যান। স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে কাজ করার পর নিজেই একটি ক্লিনিক চালু করেন। তবে ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, ব্যবসা চালাতে হলে একজন স্থানীয় নাগরিককে অংশীদার করতে হয়। সেই প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে একজন ইয়েমেনির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রিয়া।
পরবর্তীতে মাহদির সঙ্গে বিরোধে জড়ান তিনি। অভিযোগ রয়েছে, মাহদি তার পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছিলেন এবং প্রিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায়, নিজের পাসপোর্ট উদ্ধার করতে গিয়ে মাহদির শরীরে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেন প্রিয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রার ওষুধ প্রয়োগে মাহদির মৃত্যু ঘটে বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার পর দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে প্রিয়াকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৮ সালে ইয়েমেনের একটি আদালত তাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরবর্তীতে তার পরিবার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু উচ্চ আদালতও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখে।
নিমিশা প্রিয়ার পরিবার ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইয়েমেন সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ঠেকানোর কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
https://slotbet.online/