বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ—এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত হওয়ায় বান্দরবানে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
আজ সকাল থেকে শহরের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে নারী-পুরুষ ও দায়ক-দায়িকাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রতিটি বিহারে সমবেত হয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন পূজারীরা।
এ সময় রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারে আগত পূজারিদের শীল গ্রহণ ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উঃ কেতু মহাথেরো। এতে অংশ নেন ১৭তম বোমাং রাজাসহ উচ্চপদস্থ পুণ্যপ্রার্থীরাও।
ধর্মদেশনার পর দায়ক-দায়িকা ও ভিক্ষুদের প্রার্থনা, চীবর দান, গুরু ভক্তি ও ছোয়াইং (আহার) দান করেন উপস্থিত নর-নারীরা।
শহরের খ্যং ওয়া ক্যয়ং, রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহার, সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহার, উজানীপাড়া রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহার, কালাঘাটা গৌতম বিহারসহ প্রতিটি বিহারে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ তিন মাস বর্ষাবাস পালন করেন। এই সময় সংযম, ন্যায়নিষ্ঠা ও বুদ্ধের জীবন অনুসরণ করে পরোপকারে সময় অতিবাহিত করেন বৌদ্ধ পরিবারগুলো।
রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু উঃ নাইন্দাসারা বলেন, “আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এ দিনে শীল প্রার্থনা, ধর্মদেশনা, চীবর ও ফলমূল দান ছাড়াও সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্বালন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস চলবে। কারণ এই পূর্ণিমাতেই গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ সংঘটিত হয়েছিল—যা বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
https://slotbet.online/