আজ বুধবার সন্ধ্যায় রিয়াদ থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে কর্মরত একজন ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস ও মিল্ক পাউডারসহ বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের হাতে আটক হয়েছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর রুটিন চেকআপের অংশ হিসেবে বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ক্রুদের তল্লাশি করেন। এ সময় ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আন্নামার কাছে সন্দেহজনকভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি কসমেটিকস ও মিল্ক পাউডার পাওয়া যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, এই ধরনের পণ্যের শুল্ক আদায়ের দায়িত্ব কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। ফলে বিমান কর্তৃপক্ষ কেবল মুচলেকা নিয়ে ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আন্নামাকে ছেড়ে দেয়।
তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আটক হওয়া ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আন্নামা রাজধানীর একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা ফাহিমের স্ত্রী। এ কারণে প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্নামা দাবি করেন, তার সঙ্গে থাকা কসমেটিকস ও মিল্ক পাউডার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল। তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু ক্রুদের বিরুদ্ধে লাগেজের মাধ্যমে বিদেশি পণ্য এনে দেশে বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষ করে গুলশান ও বনানীর বেশ কিছু দোকানে এসব পণ্য খোলা বাজারে পাওয়া যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কেবল বিমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে না, বরং কাস্টমস আইনেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
https://slotbet.online/